চট্টগ্রামে সেনা মোতায়েন করা বিষয়ে যা বললো সিইসি

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা।

মঙ্গলবার রাঙামাটি সফরে এসে তিন পার্বত্য জেলার সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার বাহিনীসহ রিটার্নিং কর্মকর্তাগণসহ সবকটি থানার অফিসার ইনচার্জ ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, পাহাড়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনও ধরনের ঝুঁকি নেই।

সিইসি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি বিশেষায়িত এলাকা, এই এলাকার ভৌগলিক অবস্থান ও স্থানীয় জনসাধারণের প্রতি সম্মান রেখে আগামী ৩০ ডিসেম্বর একটি অবাধ ও সুষ্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

কে এম নূরুল হুদা বলেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় উক্ত নির্বাচনে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ থেকে দায়িত্ব পালন করার জন্য পাহাড়ের সকল স্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্মচারিদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে সারাদেশে যেভাবে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলছে, পাহাড়েও একইভাবে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলবে। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে সেনা মোতায়েন, প্রয়োজন অনুসারে হেলিকপ্টার ব্যবহারসহ মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু রাখা হবে।

রাঙামাটিস্থ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক মিলনায়তনে নির্বাচন কমিশনার অবঃ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শাহাদাৎ হোসেন, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান, চট্টগ্রাম পুলিশের ডিআইজি গোলাম ফারুকসহ তিন পার্বত্য জেলার সেনাবাহিনীর তিনটি রিজিয়নের তিনজন বিগ্রেড কমান্ডার, তিন জেলা প্রশাসক, দুইজন সেক্টর কমান্ডার, তিন পুলিশ সুপারসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে কর্মরত সকল উপজেলার নির্বাচনী কর্মকর্তা, ইউএনওসহ থানাগুলোর অফিসার ইনচার্জরা এ মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।